বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

অপহরণের তিন দিন পর মুক্তি মিলল ব্যাংক কর্মকর্তার

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী থেকে অপহরণের তিন দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তা হামিদ হোসেনকে (২১) ছেড়ে দিয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে উখিয়ার মরা আমগাছতলা ক্যাম্প থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে তার ভাই হারুনুর রশীদ।

অপহৃত হামিন হোসেন টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া এলাকার খায়রুল আলমের ছেলে। তিনি আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উখিয়ার কুতুপালং শাখার ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত।

ভিকটিম হামিদের ভাই হারুনুর রশীদ বলেন, রাত পৌনে ১১টার দিকে হামিদকে ছেড়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সে এখন বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছে।

মুক্তি পাওয়ার পর বাসায় এসে হামিদ হোসেন মুঠোফোনে তিনি বলেন, বালুখালীর পান বাজার থেকে তিন জন রোহিঙ্গা যুবক তাকে ছুরি ধরে ক্যাম্পের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানের একটি বাসায় নিয়ে আমার চোখ বেঁধে ফেলা হয়। তারপর ৮-১০ জনের একটি দল আসে। তাদের একজন আমাকে থাপ্পড় মেরে বলে ব্যাংকে চাকরি করিস ২০ লাখ টাকা দিতে বল। পরে তারা আর কিছু না বলে বাড়িতে ফোন দিতে থাকে টাকার জন্য, সেগুলো আমি আঁচ করতে পারি। তাদের বলেছি, আমি মাত্র সাত হাজার টাকা বেতন পাই। ২০ লাখ টাকা কোথায় থেকে পাব।

ভয়ে নির্বাক হামিদ আরও বলেন, ওই বাসায় চার দিন রেখেছে। পরে আজ এশার নামাজের পরে আমাকে দুই জন দুই হাতে ধরে চোখ বন্ধ অবস্থায় নিয়ে আসে। তারা বালুখালীর মরা আমগাছ তলায় এসে চোখ খুলে দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে।

পরিবার ও ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৩০ জুন) সকালে নিজ বাড়ি হোয়াইক্যংয়ের কাঞ্জরপাড়া থেকে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক কুতুপালং শাখায় যাওয়ার পথে বালুখালী পানবাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় হামিদ হোসাইন। তারপর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছিল না। থানায় অভিযোগ করার পর অপরিচিত এক নম্বর (০১৯৫৬০৭৪২৬৮) থেকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয় বলে অভিযোগ করে পরিবার।

পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, বাড়ি থেকে কর্মস্থল কুতুপালংয়ে যাওয়ার পথে হামিদ হোসেনকে তালহা নামে এক ব্যক্তি ফোন করে বালুখালীর পানবাজারে নামতে বলেন। সেখানে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে ফোনও দেন হামিদ। তার কিছুক্ষণ পর থেকে নিখোঁজ হন হামিদ। বালুখালী থেকে তাকে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ হারাকা ‘আল ইয়াকিন’র সদস্যরা তুলে নিয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করে পরিবার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com